মঙ্গল গ্রহে কেন নেই প্রাণ , কখনও কি ছিল?? জানুন


মঙ্গল গ্রহে কেন নেই প্রাণ , কখনও কি ছিল?? জানুন


প্রথমে বলে রাখি ,মঙ্গলে প্রাণ ছিল কিনা তার কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই । কিছু জিনিস দেখে ধারণা করা গেছে যে মঙ্গলে প্রাণ এর জন্য অনূকূল পরিবেশ একটা সময় ছিল ।

মঙ্গলের আদিকথা


মঙ্গলের জন্ম টা পৃথিবীর সাথে হলেও এই গ্রহের আয়তন পৃথিবীর তুলনায় ছোটো এই কারণে শীতলভবনের ক্ষেত্রে মঙ্গল অনেক এগিয়ে ছিল । 

(মঙ্গলে যে জল ছিল তা এখনকার surface পরিলক্ষিত করলে বোঝা যায় )

তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হওয়ার কারণে এই গ্রহের একটি সুষম crust (ভূত্বক) তৈরী হয় । এবং সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে atmosphere  এবং বায়ুমন্ডল তৈরী হতে থাকে এই সময়ে জল বিভিন্ন উপায়ে ভূত্বকে জমা হয় । সেটা উল্কাপিন্ড এর জন্যও হতে পারে আবার বাস্প আকারে জমা জল ভূত্বকের নীচ থেকেও অগ্ন্যুৎপাতের ফলেও বেরিয়ে আসতে পারে । 
এরপর জল এবং বিভিন্ন গ্যাসের সমন্বয় সাথে তাপমাত্রার কারণে hot dilute soup তৈরী হয় যাতে প্রথম martians ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আকারে জন্ম নেয় । 
 এরপর কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে যায়।
 আস্তে আস্তে জীব বাড়তে শুরু করছে এমন সময়ে এসে একটি ঘটনা ঘটে ।
একটি বড় উল্কা মঙ্গলের সাথে সংঘর্ষ ঘটায়। ফলে মঙ্গলের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তার ভর মহাকাশে নিক্ষিপ্ত হয়
 (এই ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি এখনো দেখা যায়)। ফলস্বরুপ মঙ্গলে জল বাষ্পীভূত হয়ে মহাকাশে বিচরণ করে এবং পরে শীতযুগ আসাতে জীব গুলোর অস্তিত্বও শেষ হয়ে যায় । 

এই সময় কালে পৃথিবীও ঠান্ডা হয়ে একটি জীবের অনূকূল পরিবেশ গঠন শুরু করে । 

সময় কেটে যায় মঙ্গল আবার তার সেই অবস্থা ফিরে পেতে থাকে আসতে আসতে ঠান্ডা হয় পুনঃরায় বাস্প ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসে বৃষ্টি আকারে মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে নামে । এবং জল জমা শুরু হয় ক্রমে সেই hot dilute soup তৈরী হয়ে দ্বিতীয়বার এর জন্য martians হিসেবে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রবর্তন ঘটে । 

সময় বয়েচলার সাথে এক সমস্যা দেখা যায়, মঙ্গলের মেরু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পরিবর্তন হতে থাকে এই কারণে কোনো stable জলবায়ু গঠন হয়না , তাই দ্বিতীয় প্রজন্মের martians দের ক্ষেত্রে বেঁচে থাকাটা দূর্বিসহ হয়ে উঠেছিল । কারণ বেঁচে থাকার জন্য দরকার ছিল liquid water আর উষ্নতা যা পাওয়া দুস্কর ছিল ।

এর পরও মঙ্গলের বুকে প্রাণ বেঁচে থাকার অনেক চেষ্ঠা করেছে । কিন্তু কখনই পূর্ণ ভাবে সফল হয়নি , আবার কখনও হেরেও যায়নি । 

শেষ পরিণতি
প্রতিটি গ্রহের একটি সাধারণ structure দেখা যায় যেখানে crust(ভূত্বক) ,গুরুমন্ডল এবং core ( কেন্দ্রমন্ডল) থাকে । 

মঙ্গলের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ছিল না । স্থিতিস্থাপক অবস্হায় লোহা কোবাল্ট বিভিন্ন রকমের metal একটি নির্দিষ্ট দিকে ঘুরত। এই ঘূর্ণণের ফলে মঙ্গলের নিজস্ব magnetosphere তৈরী হয়। এই magnetosphere এর জন্যই সূর্যে থেকে আগত (coronal mass ejection) radiation সম্পন্ন কণার হাত থেকে মঙ্গল রক্ষা পেত এবং জীবের বেঁচে থাকার পরিবেশ তৈরী করত।

একদিন হঠাৎ চৌম্বকীয় মেরু পরিবর্তন হওয়ার সময় মঙ্গলের core এ গলিত ধাতুর ঘূর্ণণ বন্ধ হয়ে যায় । ফলস্বরুপ magnetosphere আর থাকে না এবং তা ধ্বংস হয়ে যায় আর ধ্বংস হওয়ার সাথে সূর্য থেকে আগত রশ্মি , radiation শুধু জীব নয় atmosphere সাথে জল একেবারে নিঃশ্বেষ করে দেয় ।

এরপরে আর কখনো কোনো জীব মঙ্গলে জন্মাতে পারেনি । 

প্রাণের এত চেষ্ঠার ফলেও মঙ্গলে তারা  থাকতে পারেনি । 


প্রঃ- Panspermia  থিওরি কি সত্যি ? যেখানে বলা হয়েছে যে পৃথিবীর মধ্যে প্রান সঞ্চার হয়েছে উল্কার দ্বারা ???
- panspermia অর্ধেকাংশে সত্যি হলেও হতে পারে তার কারণ মঙ্গলের প্রথম বড় collision এর সময় মঙ্গলের জীব সহ অনেকটা পাথরপিন্ড মহাকাশে বিক্ষিপ্ত হয়েছিল । সেই সময় যদি এই প্রথম martians রা এই পাথরখন্ডে এসে পৃথিবীতে বিচরণ করে তো তা  খুব আশর্যের কিছু নয় আর সেই সময় তো পৃথিবীর  hot dilute soup এর সময় ছিল অর্থাৎ অনূকূল পরিবেশ ।

আর কিছুদিন আগেই মঙ্গলের বিচ্ছুরিত পাথরখন্ড Antarctica
তেই পাওয়া গেছিল ।
 এর থেকে বোঝা যায় হয়ত আমরাই মঙ্গলের অধিবাসী ,হয়ত আমরাই এলিয়েন ,হয়ত এইকারণেই আমরা আবার আমাদের মাতৃভূমিতে যাবার চেষ্ঠা করছি ।।


                                                                                                 ( Real Image Of Mars)





Comments

  1. অসাধারণ লেখা। ব্যক্তিগতভাবে আমি Panspermia তত্ত্বটি মানি।

    ReplyDelete
    Replies
    1. thnks...r panspermia j thik tar oporeo onk evidnce roye6e...

      Delete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে ? কাকে দিই আমরা টাকা? জিও কিভাবে তিন মাস ফ্রি দিল ইন্টারনেট?? জেনে নিন

Online Money তো Transfer করেন সত্যি কারের কি টাকা transfer হয়? হলে কি ভাবে???